শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস আরবি ও বাংলা

আজকে আমরা আলোচনা করব শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কিত হাদিস আরবি ও বাংলা অর্থসহ এবং শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার নিয়ম কি? শাওয়াল মাসের রোজা কখন রাখতে হয়, sawal maser roja নিয়ত কিভাবে করতে হবে,শাওয়াল মাসের রোজার ফজিলত সমূহ কি? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত দেখবো ইনশাল্লাহ

শাওয়াল মাসের রোজার হাদিস আরবি

রোজা আল্লাহ তাআলার কাছে অতি পছন্দনীয় আমল তাই আল্লাহ তাআলা বলেনঃ রোযার প্রতিদান আমি নিজে দিবোঅর্থাৎ রোজা দরকারের রোযার প্রতিদান আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজ হাতে দিবেন সুবহানাল্লাহ

sawal maser roza সম্পর্কে হাদিস টি একাধিক এর রেওয়াতে বর্ণিত হয়েছে এটি একটি গ্রহণযোগ্য এবং সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত

নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি 19 টি ও কি কি

শাওয়াল মাসের রোজার হাদিস আরবি উচ্চারণ:

হাদিস বর্ণিত হয়েছে,” عَن أَبي أَيُّوبَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتّاً مِنْ شَوَّالٍ، كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ». رواه مسلم “

হাদিসের বাংলা অর্থ:

আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন

“যে ব্যক্তি রমযানের রোজা পালনের পর শওয়াল মাসের ছয়দিন রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।”

সহীহ দলিল সমূহ: [মুসলিম শরীফ হাদিস নং ১১৬৪, তিরমিযি শরীফ হাদিস নং ৭৫৯, আবু দাউদ শরীফ হাদিস নং ২৪৩৩, ইবন মাজাহ হাদিস নং ১৭১৬, আহমদ হাদিস নং ২৩০২২, ২৩০৪৪, দারেমি হাদিস নং ১৭৫৪]

শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে আরবি হাদিসের ব্যাখ্যা

শাওয়াল মাসের রোজার সম্পর্কে যে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, যে রমজানের রোজা পালনের পর কেউ যদি শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখে তাহলে সে সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব পাবে,

এ হাদীসের ব্যাখ্যা ও যুক্তি এবং আলেমদের মতামত নিম্নে তুলে ধরা হলো:-

যে ব্যক্তি রমজানের 30 টি রোজা রাখবে এবং শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখবে তার সর্বমোট রোজা হবে ৩০+৬=36 টি ,

হযরত রাসূল সাঃ একটি হাদীসে ইরশাদ করেন যেকোনো ভালো কাজের প্রতিদান আল্লাহ তাআলা 10 গুণ বাড়িয়ে দেয় সুতরাং (৩৬*১০)=৩৬০

আমরা জানি আরবি মাসের হিসাবে 365 দিনের কমে এক বছর হয় সেটা ৩৬৫ দিন থেকে চার দিন কমাতে পারে আবার পাঁচ দিনও কম হতে পারে চাঁদের সাথে সম্পর্ক,

তাই আমরা 360 দিনে এক বছর ধরে অর্থাৎ সারা বছর ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ

শাওয়াল মাসের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে হাদিস

শাওয়ালের ছয় রোজা সম্পর্কে হাদিস

শাওয়াল মাসের ৬ টি রোজা কখন কিভাবে রাখতে হবে সে সম্পর্কে কোন হাদিসে উল্লেখ নেই যে মাসের প্রথম রাখতে হবে অথবা শেষের দিকে রাখতে হবে

অথবা মাজা মাঝে সময় রাখতে হবে একসাথে রাখতে হবে নাকি ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখতে হবে


তবে আলেমদের মতামত হল শাওয়াল মাসের মধ্যে যেকোনো সময় ছয়টি রোজা রাখলেই sawal maser 6 টি সুন্নত roza হয়ে যাবে,

সেটা আপনি প্রথমদিকে রাখতে পারেন মাঝামাঝিতে রাখতে পারেন অথবা শেষের দিকে রাখতে পারেন আপনি চাইলে একাধারে রোজা রাখতে পারবেন,

যদি আপনি চান একটা রাখলেন পরের দিন রাখলেন না,তারপরে আবার একটা রাখলেন অথবা প্রথম সপ্তাহে দুইটা রাখলেন পরের সপ্তাহে ২টা রাখলেন পরের সপ্তাহে দুইটা

অর্থাৎ আপনার সুবিধা মত শাওয়াল মাসের মধ্যেই রাখতে হবে সেটা জরুরি তবে কখন রাখতে হবে সেটা জরুরি না,

তবে ভালো কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করাই ভালো কারণ কখন কার মৃত্যু চলে আসে বলা যায় না, তাই আমরা যত সম্ভব শাওয়াল মাসের প্রথম দিকেই 6 টি সুন্নাত রোজা করার চেষ্টা করব ,

আমল যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই ভালো ভালো কাজে দেরি করতে নেই

ইসলামের সৌন্দর্য হ্যালো ভালো কাজ এবং শুভকাজ তাড়াতাড়ি করাই ভালো তাই আমরা প্রথমদিকেই রোজা করে ফেলব ইনশাআল্লাহ

শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার নিয়ম

রমজান মাসে যাদের রোজা কাজা রয়েছে তাদের sawal maser roja রাখার নিয়ম সম্পর্কে হাদসি

রমজান মাসে যে অসুস্থ ব্যক্তি অথবা মা-বোনদের রোযা কাযা হয়েছে তারা কিভাবে শাওয়াল মাসে রোজা রাখবেন সে সম্পর্কে বিভিন্ন আলেমদের মতামত নিম্নে আলোচনা করা হল

কোন কোন আলেমের মতে রমজানের রোজা যেহেতু ফরজ এবং sawal maser roja যেহেতু সুন্নাত তাই কাজা রোজা আগে আদায় করতে হবে

অর্থাৎ রমজানের ফরজ রোজা আদায় করার পরে শাওয়াল মাসের সুন্নাত ৬টি রোজা সময় আদায় করতে হবে.

আবার অনেক আলেমগনের মতে শাওয়াল মাস চলে গেলে যেহেতু sawal maser roja আর করা সম্ভব হবে না,

তাই সময় না থাকলে sawal maser roja আগে আদায় করা যাবে পরবর্তীতে রমজানের কাজা রোজা আদায় করতে পারবে

তবে বিশুদ্ধ মতামত হল রমজানের প্রথমদিকে কাযা রোজা আদায় করে ফেলা এবং পরবর্তীতে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা,

আম্মাজান আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি রমজানের কাজা রোজা সমূহ আদায় করতে করতে শাবান মাস পর্যন্ত চলে যেতাম|

sawal maser roja ফজিলত সম্পর্কে হাদসি

রমজান মাসে রোজা রাখার পর যারা শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখবে তাদেরকে সারা বছর রোজা রাখার সাওয়াব দেওয়া হবে

হাদিসে বর্ণিত আছে যে কেউ যদি একটি ভাল কাজের পর আরেকটি ভালো কাজ করার তৌফিক পায় তবে সে যেন মনে করে তার পূর্বের আমলটি আল্লাহতালার কাছে কবুল হয়েছে,


তদ্রূপ আমরা যদি শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখতে পারি তাহলে আমরা বুঝতে পারব যে আমাদের রমজানের রোজা সমূহ কবুল হয়েছে,


কারণ আল্লাহ তাআলা যাদের আমল কবুল করেন তাদেরকে পরবর্তীতে আমল করার তৌফিক দান করেন
তাই আমরা রমজানের রোজা পালন করার পরে এই ছয়টি রোজা অবশ্যই পালন করব ইনশাল্লাহ

আবার আল্লাহ তাআলা হাশরের ময়দানে যখন দেখবে আমাদের ফরজ রোজার ভিতর কমতি হয়ে গেছে তখন আল্লাহতালা বলবে দেখো আমার বান্দার কোন নফল সুন্নত রোজা আছে কিনা,

যদি থাকে তাহলে সেটা দ্বারা মিলিয়ে আল্লাহতালা আমাদেরকে মাফ করে দিবেন তাই আমরা নফল সুন্নত রোজা সঠিকভাবে আদায় করব

আশা করি শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস বুঝতেপেরেছেন আমরা সবাই এই ৬টি রোজা করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ

আমরা সবাই সবার জন্য দোয়া করব আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে মাফ করে দেন আমীন

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ঘরে বসে ডায়েট ছাড়াই

Leave a Comment

%d bloggers like this: