নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি 19 টি ও কি কি-Namaj Vonger Karon Bangla

আজকে আমরা দেখবো নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি? namaj vonger karon bangla সমূহ দলিল সহ,নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি pdf সহ পেয়ে যাবে, আজকে আমরা namaj vonger karon গুলো ki ki তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো ইনশাআল্লাহ

আমি আপনাদেরকে একথা দিতে পারি, যদি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন,

তাহলে আপনাদের নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না আপনাদের মনে, সকল বিষয় আজকে আমরা এই পোস্টে ক্লিয়ার করব ইনশাল্লাহ

নামাজ ভঙ্গের কারণ কি?

প্রথমেই আমরা আসি যে নামাজ ভঙ্গের কারণ আসলে কি?

আমরা যদি নামাজ ভঙ্গের কারণের সংজ্ঞা বলি তাহলে বলতে হবে, যে কারণে আমাদের নামাজ সমূহ নষ্ট হয়ে যায় বা ভেঙ্গে যায় ,

সেই কারণগুলো হলো নামাজ ভঙ্গের কারণ, অর্থাৎ নামাজে যে কাজ গুলো করলে আমাদের নামাজ হয় না, নামাজ নষ্ট হয়ে যায় সে কাজগুলোকেই নামাজ ভঙ্গের কারণ বলে.

নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি ?

নামাজ হলো ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রথম হলো কালিমা তারপর হলো নামাজের স্থান ,

তাই নামাজ পড়ার সময় আমাদের সর্বত্র খেয়াল ও ধেনের সহিত নামাজ পড়তে হবে,
এবং সুন্দরভাবে মনোযোগ সহকারে ধীরে ধীরে নামাজ আদায় করতে হবে,

এবং নামাজ ভঙ্গের কারণ কারণগুলো থেকে আমাদের দূরে থাকতে হবে তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাদের নামাজকে কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ

নামাজ অনেক কারণেই ভঙ্গ হতে পারে তবে আলেমগণের বিশুদ্ধ মতামত অনুযায়ী নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি নিম্নে দেওয়া হল

শাওয়াল মাসের রোজা সম্পর্কে হাদিস

নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি হলো

1.নামাজে অশুদ্ধ পড়া। নামাজে কেরাত পড়ার সময় অর্থাৎ কোরআন শরীফ তেলাওয়াত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায় তাহলে নামাজ হবেনা।

2. নামাজের ভিতর কথা বলা। নামাজের ভিতরে কোন প্রকার কথা বলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে সেটা হোক এক অক্ষর অথবা তার চেয়ে বেশি।

3. কোনো লোককে সালাম দেওয়া।নামাজরত অবস্থায় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না সালাম দিলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।

4. সালামের উত্তর দেওয়া। নামাজরত অবস্থায় কেউ যদি সালাম দেয় সে সালামের উত্তর দেওয়া যাবে না যদি উত্তর দেওয়া হয় তাহলে নামায ভেঙ্গে যাবে।

5. উহ্-আহ্ শব্দ করা।নামাজের ভিতরে কোন প্রকার উফ আহ বা এরকম কোন সাউন্ড বা শব্দ করা যাবেনা

6. বিনা ওজরে কাশি দেওয়া। নামায রত অবস্থায় কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে বা প্রয়োজন ছাড়া কাশি দেয় তাহলে তার নামাজ নষ্ট হয়ে।

7. আমলে কাসির করা।আমলে কাছির করা সম্পর্কে আলেমদের মতামত রয়েছে তন্মধ্যে বিশুদ্ধতম মত হল নামাজ রত অবস্থায় শরীরের অঙ্গভঙ্গি এমন করা

বা এমন কাজে লিপ্ত হওয়া, যার কারণে দূর থেকে কেউ দেখলে তার মনে প্রবল ধারণা জন্মে যে ওই ব্যক্তি নামাজরত নয়.

8. বিপদে কিংবা বেদনায় শব্দ করে কাঁদা।দুনিয়ার কোন বিপদ আপদের কথা স্মরণ করে শব্দ করে কাঁদলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে

9. তিন তাসবিহ পরিমাণ সতর খুলিয়া থাকা।নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীরের কোনো স্থান যদি তিন তাসবিহ পরিমাণ সময়

অর্থাৎ সুবহানাল্লাহ,সুবহানাল্লাহ,সুবহানাল্লাহ তিন বার পড়তে যে সময় লাগে তত টুকু সময় সতর খোলা থাকে তাহলে তার নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

হে আল্লাহ সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ পড়ার তৌফিক দিন

10. মুক্তাদী ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা নেওয়া। ইমাম সাহেব নামাজে ভুল করলে মুক্তাদী ব্যতীত

অর্থাৎ যারা ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ রত অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে মুক্তাদী বলা হয়

তারা ব্যতীত অন্য কারো থেকে লোকমা নিলে অর্থাৎ ভুল সংশোধন নেওয়া হলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।

11. সুসংবাদ বা দুঃসংবাদে উত্তর দেওয়া।নামাজ রত অবস্থায় কেউ যদি সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদের

কোন খবর দেয় নামাজি ব্যক্তি যদি তারকোনো উত্তর দেই তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে।

12. নাপাক জায়গায় সেজদা দেওয়া।নামাজে ব্যক্তি যতটুকু জায়গায় নামাজ পড়ে ততটুকু জয়গা পাক পবিত থাকতে হবে

যদি নাপাকি জায়গায় সেজদা করে তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

13. কিবলার দিক হইতে সিনা ঘুরে যাওয়া।যদি কোন কারনে কিবলার দিক হতে সিনা ঘুরে যায়

অর্থাৎ বুক কিবলা দিক হতে সরে যায় তাহলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়।

14. নামাজে কোরআন শরিফ দেখে পড়া।নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে কেরাত পড়লে

অর্থাৎ কোরআন শরীফ দেখে সূরা পড়লে নামায ভেঙ্গে যাবে।

15. নামাজে শব্দ করে হাসা।নামাজে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত বা অন্যকিছু কিভাবে শব্দ হাসে করে হাসে তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে।

16. নামাজে দুনিয়াবি কোনো কিছু প্রার্থনা করা।নামাজ রত অবস্থায় আল্লাহতালার কাছে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করলে

অর্থৎ টাকা পয়সা ধন সম্পদ ইত্যাদি মোটকথা দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করলেআমার ভেঙে যায়।

17. নামাজে হাচির উত্তর দওয়া।নামাজ রত ব্যক্তি যদি কোন হাঁচির আওয়াজ শুনে অথবা নিজেই হাঁচি দিয়ে থাকে

এবং সে যদি সে হাসির জবাব দেয় আলহামদুলিল্লাহ অথবা ইয়ারহামুকাল্লাহ তাহলে তার নামায ভেঙ্গে যাবে।

18. নামাজে খাওয়া ও পান করা।নামাজরত অবস্থায় কোন কিছু খাওয়া বা পান করা

অথবা দাতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার নামাজরত অবস্থায় খেলেও নামাজ ভেঙে যাবে।

19. ইমামের আগে মুক্তাদি দাঁড়ানো।মুক্তাদীর পায়ের গোড়ালি ইমামের আগে চলে গেলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে

অর্থাৎ মুসুল্লী যদি ইমাম সাহেবের সামনে দাঁড়ায় বা চলে যায় তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে।

Namaj Vonger Karon Bangla PDF Book

নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ pdf ফাইল আকারে আপনাদের সুবিধার্থে বিস্তারিত না লেখে সংক্ষিপ্ত ভাবে মনে রাখার জন্য

অথবা মোবাইলে সেভ করে রাখার জন্য pdf ফাইলটি আমরা নিচে দিয়ে দিলাম আপনার প্রয়োজন হলে আপনার কাছে রেখে দিতে পারেন।

namaj vonger karon bangla pdf link

নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি নিয়ে শেষ কথা

আশা করি নামাজ ভঙ্গের কারণ 19 টি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যদি আমাদের অজান্তে কোন ভুল হয়ে থাকে

তাহলে দয়া করে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে সংশোধনের জন্য জানাবেন চির কৃতজ্ঞ থাকব,

আর যদি ভালো লাগে আমাদের পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন আপনাদের বন্ধুর সাথে

এবং আমরা দোয়া করি, যে নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ গুলো থেকে আমরা নিজেকে বিরত রাখতে পারি নামাজ অবস্থায়, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৌফিক দান করুক আমীন,

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন মা-বাবার খেয়াল রাখবেন আসসালামু আলাইকুম

7 thoughts on “নামাজ ভঙ্গের কারণ কয়টি 19 টি ও কি কি-Namaj Vonger Karon Bangla”

  1. হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে নামাজ ভাংবে না। হাদিসে আছে আলহামদুলিল্লাহ তো জিকির। সুতরাং জিকিরের কারনে নামাজ ভাংবে না। এর উপরই ওলামায়ে আহনাফের ফতওয়া। — জাযাকাল্লাহ

    Reply
    • কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ:——-
      উপরে লেখা আছে হানাফী মাজহাব অনুসারে হাঁচি দিলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে, অন্য মাজহাবের কথা কিন্তু আমি বলিনি।

      Reply

Leave a Comment

%d bloggers like this: